Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
সরকারি অন্যান্য পোর্টাল দেখুন
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

নওগাঁ শহরের অদূরে চকপাথুরিয়া মৌজায় বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এর সন্নিকটে জেলখানা রোড এ  সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) নওগাঁ -এর অবস্থান ।এ প্রতিষ্ঠানে দেশের দুঃস্থ পিতৃহীন অথবা পিতৃ-মাতৃহীন দরিদ্র অসহায় পরিবারের এতিম মেয়ে শিশুদের ০৬ বছর হতে ০৯ বছর বয়সে ভর্তি করা হয় এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পারিবারিক পরিবেশে লালন-পালন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, ভরণ-পোষণ, চিত্ত-বিনোদন, মানবিক ও মানসিক বিকাশের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে একীভূত করার প্রয়াসে বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদফতর কতৃক পরিচালিত হচ্ছে । এছাড়া অসহায় ষাটোর্ধো বয়সী নারী প্রবীন ব্যক্তিদের জন্য আবাসন, খাদ্যসহ  অন্যান্য সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।

 

১৯৭২ সালে  সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) নওগাঁ নামে পথ চলতে শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটি পূর্বে পরিচিত ছিল অনাথ শিশু ও দুস্থ মহিলা পূর্নবাসণ কেন্দ্র পরবর্তিতে সিপিসি (কেয়ার প্রটেকশন সেন্টার) তারপর শিশু সদন বর্তমানে শিশু পরিবারে রূপান্তরিত । প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির মাধ্যমে ৭৮৬ (সাত শত ছিয়াশি) জন  নিবাসীকে পুনর্বাসন করেছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।১০০ আসন বিশিষ্ট অত্র প্রতিষ্ঠানে ৯০টি আসন এতিম (বালিকা) শিশুদের জন্য এবং ১০টি আসন প্রবীনদের (মহিলা) জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।

 

জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ সহ অন্যান্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন দক্ষ জনগোষ্ঠী; প্রয়োজন সমাজের প্রতিটি মানুষের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি; প্রয়োজন  শিশুদের জন্যে সুন্দর ও নিরাপদ পৃথিবী প্রস্তুত করা এবং সমাজের অসহায়, অবহেলিত প্রবীন ব্যক্তিদের (সিনিয়র সিটিজেন) মৌলিক চাহিদাসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পিতৃ-মাতৃহীন সমাজের প্রান্তিক শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনার জন্য এবং সমাজের অসহায়, অবহেলিত প্রবীন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে "উন্নত জীবন ও যত্নশীল সমাজ" বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দেশের ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবার। এই প্রতিষ্ঠানটিও সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।